শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
ছাতক (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা: ছাতকে আইপিএল ও শিলং তীর চেন্নাই নামের জুয়া খেলা উপজেলাব্যাপী যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। ২৬ এপ্রিল পীরপুরবাজারে সাবেক মেম্বার হাজি রইছ আলীর সভাপতিত্বে আটগ্রামবাসির এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন শুকুরুন নেছা চৌধুরী স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম, সাবেক মেম্বার নজরুল ইসলাম, শিক্ষক রফিক আহমদ, আবদুল কুদ্দুছ, তরিক আলী, জামাল উদ্দিন, আমিরুল ইসলাম, আসমান গনি, আজিদ মিয়া, বাদশা মিয়া, নূর হোসেন, আবদুল মুমিন, আনোয়ার হোসেন, আবাছ আলী, মাজহারুল ইসলম, আবুল হাসনাত, মেহেদী হাসান, কয়েস মিয়া, বাবুল মিয়া, মঈন উদ্দিন প্রমূখ। সভাশেষে পীরপুর বাজারে মৃত মখলিছ আলীর পুত্র আনোয়ার হোসেন রনির দোকানে ভারতীয় তীর খেলার আসর স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেন। এ সময় মল্লিকপুরের ছৈদুল, কাহার, পীরপুর গ্রামের মছলন্দর আলীর পুত্র নূরুল আমিন, করামত আলীর পুত্র নূরুল, মখদ্দুছ আলীর পুত্র জমির ও আবুলসহ জুয়া খেলার সাথে জড়িত অনেকের আসরগুলো বন্ধের জন্যে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। এছাড়া দীর্ঘদিন থেকে ছাতক শহর ছাড়াও গোবিন্দগঞ্জ নতুন ও পুরানবাজার, রেলপুল সংলগ্ন আফজালাবাদ বাজার, ধারণ, জাউয়াসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে শিলং তীর নামের জুয়া খেলা। এর সাথে উপজেলাব্যাপী আইপিএল খেলা দেখার নামে চলছে জমজমাট জুয়া-বাজিধরা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ারলীগ (আইপিএল) হলো সর্বোচ্চ বাজেটের একটি ক্রিকেটলীগ। এ খেলায় অংশগ্রহণ করেন বিশ্বের সব নামী-দামী খেলোয়াড়। কিন্তু আইপিএল খেলা চলাকালে জুয়ার নেশায় মেতে উঠেছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, বেকার যুবক, রিক্সা-ভ্যান চালক, গাড়ির স্টাফ, দোকান কর্মচারী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার লোকজন। ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রতিটি গ্রামের পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান, অফিস, বাসা-বাড়ি এমনকি যেখানেই টিভি সেখানেই চলছে বাজিধরা। লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়া খেলা চললেও এখনো বাজির টাকা নিয়ে কোন বিচার-সালিস হয়নি। এসব জুয়াড়িরা অনেকটাই থেকে যাচ্ছে প্রশাসনের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। মোবাইল ও ইন্টারনেট টিভি দেখে সহপাঠিদের সাথে ফোন, হোয়াটস্আপ, ইমু ও ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে খেলার হার-জিতার উপর বিভিন্ন অংকের টাকা বাজি ধরা হয়। অনেকে উন্নত প্রযুক্তির কারণে দেশে-বিদেশেও বাজি ধরে থাকেন। মোবাইলের মাধ্যমে সারাদেশের বাজিকরদের সাথেও বাজি ধরা হয়। কোন খেলোয়াড় বেশি রান করবে, কোন বোলার বেশি উইকেট পাবে, কোন ব্যাটস্ম্যান বেশি ছক্কা মারবে, কে বেশি চার মারবে, কোন বলে চার বা ছয় হবে এসবের উপর প্রতি মুহুর্তেই চলে বাজিধরা। ক্রিকেট জুয়ার ফাঁদে পরে সর্বস্বান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ খেটে খাওয়া লোকজন। শিলং তীরও ক্রিকেট জুয়ার মতো সামাজিক ব্যাধি দূর করতে প্রশাসনের সথে স্থানীয় লোকজনের এগিয়ে আসা উচিত বলে অভিজ্ঞ মহলের অভিমত।